একাত্তর আমাদেরকে পাকিস্তান থেকে মুক্তি এনে দিয়েছে। কিন্তু এই মুক্তি হস্তচ্যুত হয়ে দিল্লির জাদুঘরে গ্লাসবন্ধি হয়ে গেছিল। প্রভুত্বের জাদুঘরে। চব্বিশ ছিল জাদুঘর ভেঙ্গে মুক্তি-ঐতিহ্য ছিনিয়ে আনবার যুদ্ধ।
কেউ কেউ একাত্তর ও চব্বিশকে মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছেন৷ এটা ঠিক নয়। একাত্তরকে পুনরুদ্ধারের লড়াই, চব্বিশ। একাত্তরকে একজন আহত মানুষ কল্পনা করা হলে, চব্বিশ আহতের অক্সিজেন। একাত্তরকে আরোগ্য করে চব্বিশ। পূর্ণতা দেয় চব্বিশ। একাত্তর ও চব্বিশ সাংঘর্ষিক চেতনা নির্মাণ করে না। ঘাটতি পূর্ণতার ইতিহাস নির্মাণ করে। একাত্তরের ঘাটতিতে পূর্ণতা দেয় চব্বিশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বাদ দিল্লির জিহ্বা দিয়ে অনুভবের রেওয়াজই, একাত্তরের ঘাটতি। কেউ কেউ বলতে চান চব্বিশের লড়াই হাসিনা উৎখাতের লড়াই। আমি বলব, এই চিন্তা সঠিক নয়।
ফটোতে আঘাত করলে কেউ শরীরে নয় হৃদয়ে ব্যথা পায়। আত্মসম্মানে গ্লানি লাগে। হাসিনা হাসিনা নয়, দিল্লির ফটো। হাসিনাকে দেখলে দিল্লি দেখা হয়ে যায়৷ এই ফটোতে যখন আঘাত লাগে, দিল্লির অন্তরফ্রেমে তখন রক্তের ঢেউ খেলে উঠে। অন্যায্যতার ঢেউ। বেহায়ার ঢেউ। বেশরমের ঢেউ। শোষণ ও বঞ্চনার ঢেউ। আধিপত্যত্ববাদের ঝনঝন শব্দের ঢেউ। সেই ঢেউয়ের ভাঁজে ভাঁজে আগুনের স্ফুলিঙ্গ ধরিয়ে দিয়েছে চব্বিশের বাংলাদেশী তরুণ প্রজন্ম। জুলাই অভ্যুত্থান ছিলো মূলত আওয়ামী লীগের দিল্লিবাদী কেরানিগিরি ধ্বংসের জিহাদ। তাই বলি, চব্বিশের লড়াই হাসিনা বিরোধিতার মোড়কে দিল্লিবাদী বয়ান ভেঙ্গে দেওয়ার সূচনাযুদ্ধ।
Login Or Registerto submit your questions to seller
No none asked to seller yet